অনলাইন ডেস্ক :
আমি আমার মুক্তি চাই, মুক্তি হলে আমার কাছে ফিরে যেতে চাই: মো. ইমাউল হক পিপিএম
কিন্তু ঐ যে যার কাজ করতাম সেই তো জানতো না।জানি না এটা পতন ,বিরতি না অধঃপতন?না অবমাননা, অবমূল্যায়ন না যোগ্যতার হিংসা’ র প্রতিফলন?নাকি কোন অধিক যোগ্যতার শাস্তি না অযোগ্যতা র পরাভোগ?
মাথা বা মাথার উপরে র মাথা কি শুধু ই আকাশ দিয়ে ঢাকা না সত্যি ই রক্ষিত এক গ্যালারি র গ্যালাক্সি। এত ভিতরে আমি অবস্থান করছি।এত সরু ও দুর্গম গুহায়। সাফল্যের সহ্য আজ চিন্তা আর জীবন কে বেমালুম গায়েব, পুরাই অনুপস্থিত।
দোলনায় দোল খেয়ে আপেল খেতে পারছি না।
আগে পারতাম,সেটা গ্রীন আপেল।পেতাম বনেদী শহরে থাকার কারনে।এখন পাই না দাম বেড়েছে অনেক!আর যে শহরে আছি আগের চেয়ে মফস্বল।
এখানে দোলনা দড়ি দিয়ে বাঁধা ।দোলে কম।ছিঁড়ে যেতে পারে।আবার বসার জায়গা কম।উচ্চতা কম ।পা ঠেকে যায়। দোল খেতে গেলে শব্দ হয়।অন্য রা দেখে হিংসা করে।পাছে লোকে কিছু বলে। আগের দোলনা কত smart ছিল।শুয়ে দোল খাওয়া যেত ।সংগে আপনজনকে নিয়ে ও।
আবার এখন , সকালের পদযাত্রায় চরন অনেক ভারী।কারন আগের মত পাদুকা নেই।যাত্রা’ র সহ যাত্রী কম।সকালে ওঠা হয় না।কারন রাতে দেরীতে ঘুম।দেরী হলে সকালে কি করব সেই চিন্তা করে ।উঠতে, উঠতে সকালের শেষ দুপুরের শুরু।আবার যেখানে পায়ের কদম ফেলব সে জায়গায় ধুলা বালি ।উড়ে আমার চোখে যায় না শুধু, অন্যের চোখেও যায়। তারা শুধুই বাঁকা চোখে তাকায়। আর সে কোনা দিয়ে ধুলা যায়। আমার কি দোষ?তাকানোর দোষ!
আগের মত যাত্রী নিয়ে রিক্সা চালাতে পারি না।কারন সূর্যের তাপ বেশী।প্রখর,প্রচন্ড,তাপে দহন হয়।পাদুকা নেই ।কারন খারাপ সময়। অতীতে এত খারাপ সময় আসেনি।প্যাডেল করতে পারি না ।কারন পায়ে শক্তি নেই। শরীরেও নেই।কারন রাত জেগে পড়তাম। মাথায় বুদ্ধি বাড়াতে।শারীরিক পরিশ্রম যেন না করতে হয়। রাস্তাও ভাংগা। রিক্সা চালানে কষ্ট। ভাল রাস্তায় রিক্সা পাইনি।ছিল মোটরসাইকেল। তারও আগে হিনো কোচ চালিয়েছি।তখনও কষ্ট হত।কারন শুরুতে বিমান চালিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছি।দেশে বিদেশে পুরস্কার ও পেয়েছি। কিন্তু যে ব্যক্তির বিমান, সে জানেই না বিমান চালিয়ে আমি খ্যাতি অর্জন করেছি।
তারপর হিনো কোচ ।অর্জন ত ভাল ।একই কারনে মোটরসাইকেল চালানোর দায়িত্ব। এখন এতই অপাংক্তেয় যে রিক্সা র প্যাডেলার। আবার সে মালিক খুশি না। তার ভাংগা রিক্সা দেখায়ে বলে ভাংছেন কেন?
কিন্তু ক্ষনে ক্ষনে পূর্বের কথা মনে পড়ে।
কিন্তু ঐ যে যার কাজ করতাম সেই তো জানতো না।জানি না এটা পতন ,বিরতি না অধঃপতন?না অবমাননা, অবমূল্যায়ন না যোগ্যতার হিংসা’ র প্রতিফলন?নাকি কোন অধিক যোগ্যতার শাস্তি না অযোগ্যতা র পরাভোগ?
উপরের ফিরিস্তি বলে দেয় পর্যায়ক্রমে বা যথাক্রমে কোনটাই হয়নি।ধারাবাহিক তো নয়ই উল্টো ধারাবিহীন ধারনা র ধারাবিবরণী!
কেন এমন?এক, ভাগ্য: তাহলে আর মুক্তি চেয়ে কি লাভ নেই?।ভাগীরথী নদীর দিকে চেয়ে থাকি ।বস্তু বিসর্জনের মত নিজেও বিসর্জন হয়ে যেতে হবে।
আর যদি অর্জন হয় তাহলে কোথায় গেল গর্জন তর্জন।সাধনার সাধ্য কি আছে বাদসাধিতে?হয়ত নেই! অপেক্ষা র পালা।কিন্তু কতদিন?মাহেন্দ্রক্ষণ আসতে! ঐ যে মহেন্দ্র রেড্ডির মহাগমনের সময় এসে যাচ্ছে।
কিন্তু কেউ কি দেখছে না ?ধরাতলের বসুন্ধরা কি শুধু ই আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকবে ?
মাথা বা মাথার উপরে র মাথা কি শুধু ই আকাশ দিয়ে ঢাকা না সত্যি ই রক্ষিত এক গ্যালারি র গ্যালাক্সি।
এত ভিতরে আমি অবস্থান করছি।এত সরু ও দুর্গম গুহায়। সাফল্যের সহ্য আজ চিন্তা আর জীবন কে বেমালুম গায়েব, পুরাই অনুপস্থিত।
আর কেউ তো নেই ।কাউকে বলার বা তোয়াজ করার ইচ্ছে আর হাত উঠানোর রুচি অনেক আগেই ভীতি হয়ে গেছে। ।
আমার আমি।দৃষ্টিকোণের দৃশ্যে দৃষ্টিপাত করার কেউ তো নেই ।
তাই আমি আমার মুক্তি চাই !মুক্তি চাই, মুক্তি হলে আমার কাছে ফিরে যেতে চাই!
লেখার অনেক অংশ অনেকের সাথে মিলবে যারা জীবন পরিক্রমায় বাস্তবতার নায়ক।আমি আসলে তাদের কথাই বলতে চেয়েছি ।
মোঃ ইমাউল হক পিপিএম ইন্সপেক্টর
ইন্টেলিজেন্স এন্ড মিডিয়া সেল ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কক্সবাজার